বিভাগের আর্কাইভঃ সাহিত্য

literature

দরোজা – আরিফ ওবায়দুল্লাহ

আরিফ ওবায়দুল্লাহ

দরোজা

কোনো অবলম্বন ছাড়া
শুধু চৌকাঠে দরোজা দাঁড়িয়ে থাকে না।

পৃথিবীর প্রথম দরোজা নির্মাণের আগে
হয়তো ভাবনা ছিলো
আড়ালের আছে প্রয়োজন।

গৃহের সুরক্ষার জন্যে দরোজার অন্দরে
আমরা কেবল খিল এঁটে দেই।
নিজেকে বন্দি করে খুশি হই!

বালিঘড়ি – আরিফ ওবায়দুল্লাহ

আরিফ ওবায়দুল্লাহ

বালিঘড়ি

বুকের ভেতর একটা বালিঘড়ি বসানো থাকে।
সময়ে-অসময়ে সে উল্টে যায়
সময় মাপতেই।

পৃথিবীর জংশনে এসে সময়ও দুভাগ হয়।

‘টাইম এ্যান্ড স্পেস’-এর সীমারেখা নির্ধারণ করতে করতেই হাতের সময় আমরা ফুরিয়ে ফেলি।
তবে বালিঘড়িটা কারও না কারও বুকে থেকেই যায়।

সামুদ্রিক – শামীম সিদ্দিকী

শা মী ম সি দ্দি কী
সামুদ্রিক

সমুদ্রের কোলের উপর আমি মুখ রেখেছিলাম
এ ছাড়া আমার কোন উপায় ছিলো না
সত্তার নাড়ির মধ্যে জাগরিত অন্তহীন তরঙ্গ দুর্বার
পৃথিবীর সব জল এসে মিলেমিশে নুন হয়ে পড়ে
সব স্মৃতি সুখ দুরন্ত কামনা

সমুদ্রের ফেনার সাখে লেগে থাকে তার হাসি
জোয়ারের অগ্রভাগে জেগে থাকে তার চোখ
আমি সমুদ্রের কাছে যেতে চাই
আমি তার কাছে যেতে চাই
সমুদ্রের চোখের সাথে চোখ
অবারিত ফেনার সাথে তরঙ্গ উল্লাস
তার বাহু ও কোলের ভঙ্গি
সমুদ্রের শান্ত কথকতা–বিস্তৃত বিপুল
এবং তা ঘোর বর্ষায় রাত্রিকালে ফুঁসে উঠতে পারে
আমি তার উত্তুঙ্গ ঊর্মী দোলায়
অভীপ্সার ডিঙ্গি ভাসাতে চাই
অনর্গল আছড়ে পড়ে আমি লোনা হতে চাই

পৃথিবীর সব জল সমুদ্রের দিকে আসে
আমি
তার কাছে যেতে চাই

ম্যাকাউ – শামীম সিদ্দিকী

শা মী ম সি দ্দি কী
ম্যাকাউ

আমার চারপাশে ওড়ে অসংখ্য ম্যাকাউ
শন শন শন
রঙিন আর সুপ্রশস্ত ডানার কাঁপন
ঘুরে ঘুরে যপ করে
রঙিন রঙিন যতো
ওদের এ বর্ণ-বিভায় আমি ঘেমে যাচ্ছি
ক্লান্তি জাগছে মনে
নিষ্ঠ অবসাদ
কিন্তু এরা কোথা থেকে এসে থাকে
এরা তো ছিলো না এখানে
আমার কলাপাতা পোস্ট অফিস কলাই ক্ষেত
কোথাওই না

চিন্তা আর অনুভূতির
আজব কুদরতি এ তো
আমার পা তো হড়কে যাচ্ছে
ভড়কে যাচ্ছে দোয়েল পাখির ডানা
নেশাযুক্ত আধপাগল এই ম্যাকাউ সরাও
আর আমায় কিছু শর্ষেদানা
থানকুনি রস চালতাপাতা দাও